৪ পর্ব
কিছুদিন পর কাকিকে একটা এন্ড্রয়েড ফোন কিনে দেই, সাথে রাসেলের বাটন বাদ দিয়ে ওকেও একটা কিনে দেই ফোন যাতে সোজাসাপটা সন্দেহ না করে। সাথে ফেইসবুক আর WhatsApp খুলে দেই। প্রায় দিন এসে শিখিয়ে দেই কিভাবে ব্যাবহার করতে হয়। যেহেতু কাকি শিক্ষিত ছিলো তাই এগুলা চালানো শিখতে বেশি সময় লাগল না। কিছুদিনের মধ্যেই বেশ ভালো ভাবে চালানো শিখে গেলো। আমি আমার আর রাসেলের সাথে এফবি তে কানেক্ট হই। এই কাকির বাসায় আসি তখন কাকির মোবাইল চেক করে দেখি কার কার সাথে কথা বলে। রাসেলের সাথে কথা বলে জানতে পারি কাকি মোবাইল নিয়ে বেশ ব্যস্ত দিন কাটায়। আগে যেমন আনমোনা থাকত এখন তেমন না। বেশ উৎফুল্ল থাকে। রাসেল তার মায়ের এই হাসিখুশি অবস্থা দেখে বেশ খুশি হয়। ভাবে কিছুদিন চলার পর আমি একটা ফেইক নাম্বার কিনে একাউন্ট খুলি যাতে কাকির সাথে কথা বলা আর তার মনের ইচ্ছা গুলা জানতে পারি। রিকুয়েষ্ট দিতেই এক্সেপ্ট করে নেয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কথা বার্তা বলতে বলতে বেশ ক্লোজ হয়ে যাই। বেশ বন্ধু বন্ধু ভাব এসে পরে আমাদের মধ্যে। আমি চেষ্টা করতে থাকি কিভাবে আগে whatsApp এ পটিয়ে ফেলতে পারি।
কাকির এই সারাদিন মোবাইল নিয়ে থাকা রাসেলের দাদি হয়ত কিছুটা আচ করতে পারে। তবে ব্যাপারটা উনি চেপে থাকেন এটা জানার জন্য যে কার সাথে কি চলছে। যদি বড়লোক হয় ছেলে তাহলে তাদের পরিবারে আর কোনো সমস্যাই থাকবে না। তাই বাধা দেয় না। যদিও রাসেলকে ওর দাদি একবার এই কথা বলেছিলো যে সারাদিন মোবাইল নিয়ে পরে থাকে তোর মা। রাসেল তখন মজার ছলেই বলেছিলো “থাকুক না। একা মানুষ সংগী পেয়ে গল্প গুজব করলে সময়টা কাটবে।” দাদি পরপুরুষের সাথে কথা বলার ব্যাপার তুলতে রাসেল বলে “মা যদি কাওউকে পছন্দ করে ফেলে বা বিয়ে করতে চায় তাতে তার আপত্তি নেই। মায়ের সুখই ওর সুখ।” তাই দাদীও আর কিছু বলে নাই পরে।
যাই হোক এভাবে আমার সাথে কাকির নিয়মিত কথা বার্তা চলতে থাকে। আমি কাকির মোবাইল রিচার্জ সহ মাঝে মাঝে গিফট পাঠাতাম কাকির ঠিকানায়। এভাবে কাকিও আমার প্রতি দূর্বল হতে থাকে। তাই সুযোগ বুঝে একদিন প্রোপজ করি। কাকি এরপর দুইদিন আর কোনো রিপ্লাই দেয় না। এরমাঝে আমি একদিন বাসায় যাই অবস্থা দেখার জন্য। যেয়ে দেখি কাকি কেমন যেনো ভাবুক ভাবুক। কাজে মন নেই। আমি গেলে চা বানাতো কমপক্ষে কিন্তু আজ তার খেয়াল নেই। বুঝলাম ওষুধ কাজ করছে হয়ত। দুইদিন পর আমাকে কাকি রিপ্লাই দিলো। এতদিন কাকি সাধারন মেয়ে হিসিবে কথা বললেও রিপ্লাইয়ে কাকি নিজের জীবনের কথা বলতে লাগল। কাকি বলল তিনি বিধবা একজন মানুষ একটা ছেলে আছে ২০+ বছরের। উনি এতোদিন সময় কাটানোর জন্য কথাবার্তা বলেছে। আমিও বললাম যে আমি ওনাকে মানুষ হিসেবে পছন্দ করি। নয়ত চেহারা দেখে পরে প্রোপজ করতাম। কাকি কিছুটা ইতস্তত বোধ করতে থাকে। এরপর আমি বলি যে সামসামনি দেখা করে কথা বার্তা বলব একদিন। কাকি কিছুক্ষন পর রিপ্লাই দিয়ে রাজি হয়ে যায়।
পরে নির্ধারিত সময়ে কাকি রেডি হয়ে বের হয়। সেই সময় দাদি কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে আমাদের বাসায় যাচ্ছে বলে। আমি ইচ্ছা করে কোনো রেস্টুরেন্টে দেখা করতে চাই নি। আমাদের এখান থেকে ১৫ মিনিটের রাস্তায় একটা ছোট নদি পরে সেখানে দেখা করার কথা বলি। কারন যদি সিনক্রিয়েট করে তাতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়। যাই হোক আমি আগেই পৌঁছে লুকিয়ে থাকি এটা দেখার জন্য যে কাকি এসে কি করে। দেখি কাকি আসলো। এসে নদীর পাড়ে দাড়িয়ে মেসেজ করছে আর ফোন দিচ্ছে। আমার ফোন বাজছে আর মেসেজ আসছে। আমি কাকিকে মেসেজে বললাম এইতো চলে আসছি। ৫ মিনিট পর আমি কাকির সামনে যেয়ে দাড়ালাম। কাকি বোরকা পড়া ছিলো। কিন্তু মুখটা নামিয়ে রেখেছিলো। আমি যেয়ে কাকিকে দেখে অবাক হওয়ার ভান করি। কাকিকে বলি “আরে আপনি এখানে?” আমাকে দেখে কাকি থতমত খেয়ে যায়। কাকি আমতা আমতা করে বলে “এমনি ঘুড়তে এসেছি। তুমি এখানে?” আমি সত্যি বলি যে আমি একজনকে পছন্দ করি তার সাথে দেখা করার জন্য এসেছি। কাকি এই কথা শুনে আরো ঘাবড়ে যায়। কাকি চলে যেতে চাইছিলো যেনো। তবে আমি কিছু না বলতে দিয়েই আবার আমি বলি “ও বলল এসে গেছে কিন্তু কোথায় কে জানে? একটা ফোন দেই দেখি?” বলে কাকিকে ফোন দেই। দেখি কাকির ফোন আওয়াজ করে বেজে উঠে। কাকিও চমকে যায়। আমি অবাক হওয়ার ভান করে কাকির দিকে তাকিয়ে বলি “কাকি আপনি সেই মেয়ে?” কাকি যেনো মাটি ফুড়ে ভিতরে ঢুকে যেতে চাইছে। আমরা দুইজনেই নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি কিছুক্ষন।
এরপর কাকি বলতে শুরু করে “দেখো বাবা আসলে আমি জানতাম না এটা তোমার নাম্বার। কারন তোমার নাম্বার আমার এখানে সেভ করা। জানলে আমাদের এই অবস্থায় পড়তে হতো না।” আমিও অভিনয় করে বললাম “এটা বিজনেসের জন্য ব্যবহার করি, তাছাড়া পরিচিত কারো নাম্বার এটায় থাকে না। আওঅঅনার নাম্বার কিভাবে আসলো আমিও জানি না।” কাকি বলতে থাকলো “ব্যাপারটা ভুলে যাও। যা হওয়ার হয়ে গেছে।” এখন আমি শুরু করলাম “কিন্তু আমাদের ভালোবাসা? আমিতো আপনাকে দেখে ভালোবাসিনি। আপনার সাথে কথা বার্তা বলে আপনার জীবনের গল্প শুনে আপনাকে ভালোবেসেছি। এতে আমার দোষ কোথায়?” কাকি বলল “দোষ আমাদের কারো না। কিন্তু এটা সম্ভব না বাবা। আমি তোমার বন্ধুর মা, তাছাড়া আমি বয়সেও তোমার মায়ের থেকেও বড় হবো হয়ত। এটা সম্ভব না, সমাজ মানবে না। আর রাসেলের কথাও ভেবে দেখো।” আমি কাকিকে বললাম ” সমাজ নিয়ে ভাবি না। সমাজ আমাদের খেতেও দেয় না পড়ততেও দেয় না। আর রাসেলের কথা বলছেন, রাসেল আপনার সুখের জন্য সব করতে পারে। দেখবেন এটাও মেনে নিবে আপনার সুখের কথা ভেবে। আর বয়স দিয়ে কি হবে। আমি আপনার মনকে ভালোবাসি সেটা আপনার যতি বয়স হোক।” এরপর কাকি আবার বলল “তোমার মা বাবা কি বলবে ভেবছো? তারা কিভাবে নিবে?” আমি বললাম ” সেটা আমি মানিয়ে নিবো। আমার বাবা মা আমাকে খুব ভালোবাসে। তাদের ছেলের জন্য সব করতে রাজি। আর তাছাড়া আমি নিজে ইনকাম করি তাই তারা না মানলেও আপনাদের ৩জনের পরিবার আমার চালাতে কোনো সমস্যা হবে না। দরকার পড়লে অন্য কোথাও চলে যাব আমরা।”
আমার কথা শুনে দেখলাম কাকি ভাবুক হয়ে উঠলো। আমিও সময় দিলাম নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য। আসকে কাকি আমার প্রতি দূর্বল হয়ে গিয়েছিলো সেটা আগেই জানতাম। বিয়ের কথা না বললেও যে আমাদের ফিউচার নিয়ে কথা গুলা কাকির হয়ত আরো পছন্দ হয়েছে তাই ভাবছে কিভাবে কি বলবে বা করবে। কিছুক্ষন পত কাকি বলল “সত্যি আমাকে ভালোবাসো?” আমি বললাম “সত্যি ভালোবাসি।” কাকি আবার বলল “ছেড়ে যাবে নাতো? আমি আবার একা হতে চাই না?” আমি তুমি করে কাকিকেএ বললাম “তুমি চাইলে এখনই যেয়ে কোর্ট ম্যারিজ করতে প্রস্তুত আমি।” কাকির চোখে দেখলাম পানি জমতে শুরু করেছে। আমি সাহস করে কাকির হাত ধরে বললাম “তোমাকে আর কাদতে দেবো না।” বলে কাকির চোখ মুছে দিয়ে ঘুড়াঘুড়ি করে কাকিকে বাড়ি দিয়ে আসলাম। সাথে কাকির থেকে ইনফরমেশন নিলাম যে দাদি আসলে কেমন মানুষ। সেখান থেকেই জানতে পারি দাদি আসলে টাকা প্রেমী তবে সেটা তাদের ভালো জীবন ব্যবস্থার জন্য। ভাবলাম তাহলে দাদিকে মানাতে কোনো বেগ পেতে হবে না। বাকি রইলো রাসেল। সেটা নিয়ে আমরা কিছুটা প্ল্যান করতে লাগলাম।
৫ম পর্ব
এভাবে আরো কয়েক সপ্তাহ কথা কথা বার্তা বলতে লাগলাম। সাথে আমাদের বাসায় যাওয়ার নাম করে কাকিকে নিয়ে ঘুড়তে যেতাম। এটা সেটা শপিং করে দিতাম জোর করে। আবার স্কুটি করে বাসায় দিয়ে যেতাম। এরমাঝে যেখানে কাকিরা থাকত সেখানে কানাঘুষা শুরু হয়ে যায় যে বিধবা মহিলা কেমন ছেলের বধুর সাথে ঢলাঢলি করে। ব্যাপারটা রাসেলের কানেও যায়। রাসেল ব্যাপারটা নিয়ে মাথা না ঘামালেও আমাকে একদিন ব্যাপারটা নিয়ে বলে। আমি ওকে প্রস্তাব দেই যে এই বাসা ছেড়ে আমাদের বাড়িতে একটা ফ্লাট নিয়ে থাকতে। ভাড়া নিয়ে টেনশন করা লাগবে না। অনেক বলে বুঝানোর পর সে রাজি হয়। আমি এটা কাকিকে বলতে সেও খুশি হয়ে যায় যে সে এখন ভালো একটা জায়গায় থাকতে পারবে। আমি বাসায় ব্যাপারটা বলতে আমার মা বাবাও বেশ স্বাভাবিকভাবে নেয় সাথে খুশিও হয়। পরে দুইদিন পর কাকিরা আমাদের বিল্ডিংয়ে শিফট হয়ে যায়। তাদের একদ্ম নিচতালায় দুইরুমের একটা বাসায় থাকতে দেই যেখানে দুটা বেডরুম একটা কিচেন একটা বাথরুম আর সামনে একটু স্পেস ছিলো। এখন কাকি নিয়মিত আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করতে থাকে। সাথে আমার সাথেও কাকির কথা বার্তার পরিবর্তন আসে। আমাকে কাকি সবার সামনে তুমি করেই বলে তবে আমি সবার সামনে আপনি করে বলি। তবে কাকির সাথে আমার বন্ধুসুলভ কথা বার্তা আচরণ মায়ের চোখ এড়ায় না।
আমি আমার মায়ের সাথে বেশ ফ্রি। আমি আমার লাইফের সব কথাই মায়ের সাথে শেয়ার করি। আমি তাই সাহস করে মাকে কাকির সাথে আমার সম্পর্কের কথা বিস্তারিত সব বলি, তবে যেভাবে ঘটেছে সেভাবে। পুরোটা যে আমার প্ল্যান ছিলো সেটা প্রকাশ করি নি। মা দেখলাম কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেলো। বলল “তুই সত্যি নাজমাকে ভালোবাসিস?” আমি বললাম “হ্যাঁ ” মা বলল “ওর বয়স দেখেছিস? তোর দিগুন হবে। দুদিন পর যখন ভালো লাগবে না তখন কি করবি?” আমি বললাম “আমি কাকির মনকে ভালোবাসি। কাকির প্রেমে আমি যখন পড়েছি তখন্তো কাকিকে আর আমি দেখি নাই। আর আমি কাকি কখনো ছাড়ব না।” দেখলাম মা কিছুক্ষন চুওচাপ থেকে বলল ” নাজমার কি মত?” আমি বললাম “ও রাজি তবে তারপরও তুমি একবার কথা বলে দেখো।” মা বলল “আচ্ছা। আর রাসেল ওর দাদি?” আমি বললাম “যদি নাজমা আঠিক থাকে তবে এদের সমস্যা হবে না।” মা বেশ বলে চলে গেলো।
পরের দিন বাসায় কাকি আসলে কাকির সাতগে কথা বলে। আমি আগ্রি কাকিকে বলে দিয়ে ছিলাম যাতে ফোন করে রাখে আমাকে যাতে সব শুনতে পারি আমি। মা কাকিকে আমার ব্যাপারে বললে কাকি সব স্বীকার করে নেয় আর এটাও বলে যে কাকিও সত্যি আমাকে ভালোবাসে, সাতগে মায়ের মন রাখার জন্য বলে যদি আমার পরিবার না চায় তবে কাকি আর সামনের দিকে আগাবে না আর আমাকে প্রশয় দিবে না। কাকির কথা শুনে মা বেশ খুশি হয়। কাকির স্বভাব চরিত্র মায়ের আগে থেকেই পছন্দ ছিলো। সাথে শেষের কথা মা আরো খুশি হয়ে যায়। মা বলে আচ্ছা শিহাবের বাবার সাথে কথা বলে দেখি। আমি এসব শুনে বেশ খুশি হয়ে যাই কারন মা রাজি মানে বাবা রাজি হবেই। যাক কাকি তবে আমার হচ্ছে এই ভেবে বেশ খুশি হতে থাকে মনে।
এভাবে আরো দুই এক সপ্তাহ কেটে যায়। আমি রাসেলকে কিছু বলি না কারন রিএক্ট করতে পারে। অপেক্ষা করতে থাকি সঠিক সময়ের। তো একদিন রাতে আমার পরিবারের সবাই মিলে রাসেলের বাসায় যায় মিস্টি নিয়ে। যদিও আমি ছিলাম না। কাকি সবাইকে আসতে দেখে বুঝে যায় কেনো এসেছে। সাথে সাথে আমাকে ফোন দেয়। সেই সময় আমি বাহিরে ছিলাম। কিন্তু বাকি দুই পরিবারের সবাই বাসায় ছিলো। আমি কাকিকে বলি একটু সেজেগুজে আর পর্দা করে সামনে যেতে।
রাসেল আমার বাবা মাকে দেখে কুশল বিনিময় করে, আমার পরিবারও ভালো মদ জিজ্ঞাসা করে। এরপর সেই মাহেন্দ্রখন আসে। আমার মা রাসেলের দাদির সাথে কথা বলতে থাকে।
মা: আসলে কাকি একটা জিনিস চাইতে আসলাম।
দাদি: কি মা। তোমারা আমাদের জন্য যা করতেছ অনেক আপন মানুষও এগুলা করে না। তীমাদের জন্য আমাদের কি করতে পারে? সাধ্যের মধ্যে থাকলে সেটা অবশ্যই দিবো।
মা: আসলে আপনার মেয়েকে আমাদের ছেলের জন্য চাইছি।
দাদি বুঝেও না বোঝার ভান করে আছে। কাকি আমাকে বলেছিলো যে সে কাকি আর আমার সম্বন্ধ নিয়ে আমার মায়ের কথা তার শাশুড়ীকে বলেছে। দাদি বলল: মানে? কোন মেয়ে? কি বলছো একটু খুলে বলো? এদিকে রাসেলও ব্যাপারটা ধরতে পারছে না।
মা: নাজমাকে আমার ছেলে শিহাবের বঊ করতে চাই।
রাসেল যেনো আকাশ থেকে পরলো। দাদিও অবাক হওয়ার ভান ধরলো। বলল: কি বলছ মা। নাজমা বিধবা আর শিহাব আর রাসেল বন্ধু। বন্ধুর মাকে বিয়ে! এটা কিভাবে সম্ভব!
মা: দেখেন আমাদের কোনো কিছুর কমতি নেই। আমি নাজমাকে পছন্দ করি আগে থেকেই। যদি আমার ছেলেকে বিয়ে করাতাম অন্য কোথাও তবে চাইতাম ওর মত স্বভাবের মেয়ে যাতে পুত্রবধূক হয়। যেহেতু নাজমাই আছে তাই অন্য কোথাও খুজে কি লাভ।
দাদি: কিন্তু সমাজ কি বলবে আর এদের বয়সের এই অবস্থা?
মা: এগুলা কোনো সমস্যা না। সমাজে এখন এগুলা বেশ স্বাভাবিক।
রাসেলে একদম চুপ। আমার মা রাসেলকে বলল: দেখো বাবা আমি তোমার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি কিন্তু তুমি তোমার মায়ের কথাও একবার ভেবে দেখো। এতো বছর একা একা কাটিয়েছে। জীবনে সুখ আহ্লাদ কিছুই পায় নি তোমার কথা ভেবে সব ত্যাগ করেছে। এখন তোমার উচিত তোমার মায়ের কথা ভেবে দেখা।
রাসেল কিছুক্ষন ভাবলো। এরপর আমার মাকে বলল: যদি আমার মা এতে খুশি থাকে তাহলে তার আপত্তি নেই।
এরপর মা দাদিকে বলল: এবার আপনি বললে পাকা কথা বলে যাবো?
দাদি নাজমার দিকে তাকিয়ে: কিরে তোর কি মত?
কাকি মাথা নিচের দিকে রেখেছিলো লজ্জায়। ছেলের সামনে মায়ের বিয়ের কথা চলছে কি একটা অবস্থা। কাকি বলল: আপনারা যা ভালো বুঝেন।
কাকির এই কথা শুনে সবাই বুঝে গেলো কাকি রাজি। এরপর সকলে মিস্টি মুখ করলো। যদিও রাসেলের মনটা কিছুটা খারাপ, যেটা স্বাভাবিক।
এরপর আমার পরিবার বাসায় এসে পরে। রাসেল আমাকে খুজতে বের হয়। কাকি খুশিতে ডগমগ হয়ে থাকে। এসময় দাদি এসে কাকির সাথে কথা বলে। দাদি বলে “দেখ বিয়েতো করছিস এই বয়সে আবার। তবে এবার নিজের দিকটা একটু দেখিস।” কাকি বলল “মানে?” কাকি তখনো আমার ফোন কাটে নাই, তাই আমি সব শুনতে পারছি। দাদি বলল “আরে তোর যে বয়স কয়ফিন পর যদি তোকে ছেড়ে দেয় তখন কি করবি? তাই আগে থাকতেই কিছু জিনিস চেয়ে নিবি। যেমন একটা ফ্ল্যাট যেনো তোর আর তোর ছেলের নামে লিখে দেয়, দেনমোহরের টাকাও বেশি চাইবি এইসব আরকি।” কাকি দাদিকে বলল “ও আমাকে ছাড়বে না। আর এতো লোভ কি ঠিক?” তখন দাদি বলল ” এটা লোভ কোথায় তোর সেফটির জন্যি বলছি।” কাকি “আচ্ছা সে দেখা যাবে” বলে শুতে চলে গেলো। কাকি ভুলেই গেসিলো যে আমি ফোনে। আমি সব শুনে রেখে দিলাম। কাকির প্রেমে এমন মগ্ন ছিলাম যে যা চাইছে তা দিতে আমি দুবার ভাববো না।
৬ষষ্ঠ পর্ব
রাসেল আমাকে ফোন দিতে লাগলো। আমি প্রথম কয়েকবার না ধরলেও পরে ধরলাম। রাসেল আমি কোথায় সেটা জানতে চাইলে আমি বলি যে বাসার দিকে যাইতেছি। পরে বাসার কিছু কাছে আমার সাথে রাসেলের দেখা হয়।
রাসেল: তুই কি জানিস কি হইসে?
আমি: (জেনেও না জানার ভান করে) না তো। কেনো কি হইসে?
রাসেল: তোর পরিবার আমাদের বাসায় আসছিলো।
আমি: কেনো?
রাসেল: তোর বিয়ের কথা বলতে
আমি: মানে! তোদের বাসায় কেনো?
রাসেল মাথা নিচু করে বলল: আমার মায়ের সাথে তোর বিয়ের কথা বলতে।
আমি অবাক হওয়ার ভান করে: কি বলিস? কিভাবে সম্ভব এটা।
রাসেল: সেটাই। কিন্তু দাদির সাথে তোর বাবা মা কথা বলে সব ঠিক করে ফেলেছে।
আমি: বলিস কি। আমাকে জানায় নি তো আগে। কাকি কিছু বলে নাই। কাকির মতামত জানতে চাইছে ওনারা?
রাসেল: মা কি বলবে। সব তাদের উপর ছেড়ে দিয়েছে। এখন তুই বল তুই কি করবি?
এই বলে আমার দিকে আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। আমি আগেই কিছু বললাম না। রাসেলই আবার বলে উঠলো “দেখ তোকে জোর করার ক্ষমতা আমার নেই। তুই আমার বন্ধু। এখন যে অবস্থা এতে আমার মা আর তোর মতামতের উপর পুরো ব্যাপারটা ডিপেন্ড করতেছে। আমার মায়ের বয়স, সমাজ, সাথে দারিদ্র্যতা এসব দেখে তুই যদি চাস তবে না করে দিতে পারিস। আবার চাইলে বিয়েও করতে পারিস।”
আমি: তুই কি বলিস।
রাসেল: আমার চাওয়ার উপর এটা নেই। তবে এতে যদি মা খুশি হয় তবে আমার আপত্তি থাকবে না। তবে তুই সত্যি যদি বিয়ে করিস তবে আমার মাকে কোনো কষ্ট দিস না।
আমি: কিন্তু তুই আমার বন্ধু। তোর মাকে বিয়ে করার পর আমাদের এই সম্পর্কেও পরিবর্তন আসবে তখন?
রাসেল: দেখ তুই আমার যেমন বন্ধু তেমনই থাকবি মাঝখানে শুধু সৎ বাবা হিসেবে থাকা লাগবে তোর, আর আমার এতে আপত্তি নেই।
আমি মনে মনে খুশি হলাম। এতক্ষন আমাদের পুরো কথা বার্তা সব রেকর্ড করে রাখছিলাম মোবাইলে। এরপর আরো কিছুক্ষন কথাবার্তা বলে বাসায় চলে আসি। মনে যে কি আনন্দ তা বলে বুঝানো যাবে না। বাসায় যেয়ে কাকিকে রেকর্ডটা পাঠিয়ে দিলাম। কাকি শুনে আমাকে কয়েকটা লাভ ইমোজি পাঠিয়ে দিলো। আমরা আরো কিছুক্ষন কথাবার্তা বলে ওকে বললাম যাতে চ্যাট ডিলিট করে দেয়, রাসেল যাতে মোবাইল চেক করে বুঝতে না পারে আমাদের সম্পর্ক গত কয়েকমাস ধরে চলে আসছে। তাহলে ঝামেলা হবে। এরপর ঘুমিয়ে গেলাম।
পরেরদিন একবারে সকাল বেলা রাসেলের বাসায় গেলাম মায়ের কথায়। বাসায় যেয়ে নক করতে ভিতর থেকে আওয়াজ আসলো কে। আমি আমার কথা বলতে দেখি কাকি দরজা খুলে দিলো। দেখলাম কাকি মাত্র গোসল করে মাথা মুছতেছে।
গায়ে কোনো ওরনা দেয়া নাই। সাধারণত কাকি বাসায় থাকলেও পর্দা করে চলে। একটা কমলা প্রিন্টের কামিজ আর সালোয়ার পরা, যেটা গোসলে পানিতে ভিজে কাকির শরীরের ভিন্ন জায়গায় লেপ্টে আছে। কামিজের গলার অংশ থেকে কাকির বুকের খাজ পর্যন্ত খোলা। কাকির চিন বেয়ে দুই এক ফোটা পানি ঠিক কাকির দুই বুকের মাঝখান দিয়ে নিচে নেমে গেলো। সেই পানির দিকে তাকিয়ে নিচে তাকাতে তাকাতে দেখি কাকির দুই বুকের দুই দুধের বোটা বোঝা যাচ্ছে। বুঝলাম কাকি ব্রা পরেনি। আমি লুংগি পরেছিলাম। লুংগির উপরেই যেনো তাবু হয়ে গেলো আমার ধন। কাকি দেখলাম এটা দেখে যেনো নিজেকে আরো খুলে আমাকে দেখাতে চাইছে। আমাকে ভিতরে আসতে বলে মাথা নিচে নামিয়ে মেয়েরা যেভাবে চুল ঝাড়ে সেভাবে ঝাড়তে লাগলো। কাকি নিচু হতেই কাকির কামিজের ফাক দিয়ে কাকির ব্রা ছাড়া দুধ দুইটা দেখতে পারলাম। এই প্রথম কোনো মেয়ের দুধ নিজের চোখে দেখলাম। এরকম খাড়া ভাবে দুধ দুইটা নিচে ঝুলে আছে। কাকির বাদামী দুধের বোটাটাও স্পষ্ট।
আমার আর কাকির রিলেশন চললেও কখনো নুডিটি টাইপ কিছু করি নি। আমরা যা করা বিয়ের পর করবো বলে ঠিক করেছিলাম। তবে কাকি আজক যা করছে তাতে নিজেকে আটকে রাখা খুব কষ্ট। আমাকে দেখে কাকি যেনো মজা পেয়ে নিজেকে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে দেখাতে লাগলো শরীর মুছার অভিনয় করে। এই সময় দাদি চলে আসলে দেখলাম কাকি নিজেকে সামলে নিলো। দাদি কাকিকে নিজের ঘরে যেতে বলল। বলল বিয়ের আগে বরের সাথে এভাবে এতো দেখা সাক্ষাত না করতে। পরে কাকি নিজের ঘরে চলে গেলো। আমি বসলাম সোফায়। আমার ধন তখনো দাঁড়িয়ে ছিলো সাথে কিছটা প্রিকামও বের হয়েছিলো। আমি দাদিকে বললাম যা মা পাঠিয়েছে। বললাম বিয়ের কেনা কাটা করার কথা বার্তা বলতে আর যত খরচ হবে সব আমাদের পক্ষ থেকে। এই বলে কিছুক্ষন বসে ঠান্ডা হয়ে বাসায় চলে আসলাম।